নির্ধারিত
সময়ে লতিফ সিদ্দিকীর কাছ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব পায়নি আওয়ামী
লীগ। দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে কেন বহিষ্কার করা হবে না সে বিষয়ে জানতে
চেয়ে গত ১৪ অক্টোবর কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। রেজিস্ট্রি ডাকযোগে
পাঠানো ওই নোটিশ লতিফের টাঙ্গাইলের স্থায়ী ঠিকানায় পৌছায় পরদিন ১৫ অক্টোবর।
নোটিশে
উল্লিখিত ছিল, পত্র প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে। সেই হিসেবে
নোটিশের জবাব দেয়ার শেষ দিন ছিল বুধবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত। কিন্তু এই
সময়ের মধ্যে লতিফ নোটিশের কোনো জবাব দেননি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের দফতর
সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।
জানা
গেছে, কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব না আসায় আগামী শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে
৬টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠেয় দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে শুরুতেই লতিফ
সিদ্দিকীকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ বহিষ্কার করা হবে। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট
সকলকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
এর
আগে গত ১২ অক্টোবর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক লতিফ
সিদ্দিকীর দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিস্কার এবং প্রাথমিক সদস্যপদ
সাময়িক স্থগিত করা হয়। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তাকে কারণ দর্শানোর
নোটিশ পাঠানো হবে। ওই দিন দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের
মাধ্যমে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকেও
অব্যাহতি দেওয়া হয় লতিফ সিদ্দিকীকে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের এক
অনুষ্ঠানে হজ, তাবলিগ জামাত, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে চরম
আপত্তিকর মন্তব্য করেন লতিফ সিদ্দিকী।
0 comments:
Post a Comment